বিশ্বে জুড়ে করোনার থাবা। আরও প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু,আক্রান্ত ৪ লাখ ২৬ হাজার।

প্রকাশিত: ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২১

বিশ্বে জুড়ে করোনার থাবা। আরও প্রায় ৮ হাজার মানুষের মৃত্যু,আক্রান্ত ৪ লাখ ২৬ হাজার।
booked.net

ডেস্কঃ বিশ্বজুড়ে করোনার থাবায় গত ২৪ ঘণ্টায় সাত হাজার ৯২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ২৬ হাজার ৫৩৫ জন। পাশাপাশি সারাবিশ্বে এ মহামারি থেকে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ২১ কোটি ছাড়িয়েছে। এর আগের দিন সারাবিশ্বে পাঁচ হাজার ৩৫০ জনের মৃত্যু হয় ও আক্রান্ত হয় তিন লাখ ৭১ হাজারের ৫৩১ জন।

বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে করোনায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৬৯৪ জনের। আর মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২৩ কোটি ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার ৬৯৪ জন। এর মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২১ কোটি তিন লাখ ৯৪ হাজার তিনজন।

আজ অবধি করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন চার কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ১১ হাজার ২২২ জন। দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ৩৫ লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে তিন কোটি ৩৭ লাখ ১৫ হাজার ৪৯ জনের। এর মধ্যে মারা গেছেন চার লাখ ৪৭ হাজার ৭৮১ জন। সুস্থ হয়েছেন তিন কোটি ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৭ জন।

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে থাকা ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে সংক্রমিতের সংখ্যা দুই কোটি ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৯০ জন। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ৯৫ হাজার ৫২০ জন মারা গেছেন। আর সেরে উঠেছেন দুই কোটি তিন লাখ ৮৩ হাজার ২৪৩ জন।

তালিকায় এরপরের স্থানগুলোতে রয়েছে যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইরান, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, স্পেন ও ইতালি।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২৯ নম্বরে। দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৩ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২৭ হাজার ৪৩৯ জন। আর ১৫ লাখ ১২ হাজার ৬৮১ জন সুস্থ হয়েছেন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ ভাইরাসে দেশটিতে প্রথম মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। এরপর ওই বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে।

সংক্রমণ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ইউরোপের কিছু দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দেশগুলোতে চলতি বছরের শুরুর দিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসা শুরু হয়। এর বিপরীতে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে ভারতসহ এশিয়ার কিছু দেশে। তবে ভারত থেকে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের করোনা পরিস্থিতি ফের খারাপ হয়।

এরই মধ্যে অব্যাহতভাবে টিকাদান চালিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ। কোনো কোনো দেশ টিকার বুস্টার ডোজ ও শিশুদেরও টিকাদান শুরু হয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad