নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ- কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ও ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থান সহ রেল সড়কে বন্যার পানি উঠতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এরকম চলতে থাকলে যে কোন সময় সারাদেশের সাথে সিলেট অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার বরমচাল- ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী ফানাই-আনফানাই নদীর ওই স্থানের প্রায় ২শ ফুট রেললাইনে পানি উঠতে শুরু করে। সময় যতই যাচ্ছে ততই বাড়ছে বন্যার পানি। ধীরে ধীরে ডুবে যাচ্ছে রেললাইন। বন্যার পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে ট্রেনের গতি কমিয়ে আনা হয়েছে।

কয়েক দিন থেকে টানা ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হাকালুকি হাওরের ঘেঁষা কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকার ঘরবাড়িতে উঠছে পানি। প্লাবিতদের সংখ্যা দীর্ঘ হচ্ছে। এদিকে কুলাউড়ার বিভিন্ন স্থানের রেললাইনে পানি উঠায় নতুন করে দুশ্চিন্তায় ফেলছে রেল যাত্রীদের।

কুলাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার হরিপদ সরকার জানান, গত ৩ দিন থেকে বরমচাল- ছকাপন রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানটিতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রেল লাইনের দুটি স্থানে ১ থেকে ২ ইঞ্চি উপর দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানির স্রোত কম থাকায় গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচল করছে । তবে এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ট্রেন চলাচল যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জায়গাটি সহ আশপাশ গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করছেন। তাদের পরামর্শনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পাহাড়ী ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে কুলাউড়া থেকে শমশেরনগর ও কুলাউড়া থেকে মাইজগাঁও পর্যন্ত গতি কমিয়ে ট্রেন চলাচলের নির্দেশনা রয়েছে।