প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ।

প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ১১, ২০২২

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ।
booked.net
Manual6 Ad Code

সম্প্রতি বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ‘কুলাউড়ায় শিক্ষকের মারধরে মারাত্মক আহত শিক্ষার্থী’ সহ বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসব সংবাদ ভিত্তিহীন। প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।

Manual1 Ad Code

আমি মো. মাহতাবুর রহমান কুলাউড়ার বরমচাল হযরত খন্দকার (রঃ) দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। এর আগে ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার সুপার স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলে বিধি মোতাবেক আমি ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পালন করি। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বাণিজ্য করতে চাইলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। তখন থেকেই আমার সাথে কমিটির সভাপতির বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি কয়েকজন শিক্ষকের সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র লঙ্গঁন করে জোরপূর্বক আমার কাছ থেকে মাদ্রাসার যাবতীয় রেকর্ডপত্র নেন তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ। বিষয়টি সম্পর্কে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ অবগত রয়েছেন।

Manual3 Ad Code

২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের সম্মাণিত চেয়ারম্যান একেএম সফি আহমদ সলমান মহোদয় উভয়পক্ষকে নিয়ে বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধকৃত বিষয়টি নিস্পত্তি করেন। ওইদিনই উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আমার উপর হামলা চালান প্রতিপক্ষরা। এতে আমি মারাত্মক আহত হই। ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিস্পত্তি করেন। বর্তমানে আমি যথারীতি মাদ্রাসায় সহ-সুপারের দায়িত্ব পালন করছি।

Manual7 Ad Code

মাদ্রাসায় গত ৮ জুন দুপুর ১২টায় ক্লাস মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালীন সময় ৮ম শ্রেণির ছাত্র মো. ছিদ্দেক আলী ক্লাসে অনেকটা ডিস্টার্ব করছিল। এতে করে ক্লাসের অন্যান্য শিক্ষার্থীদেরও ডিস্টার্ব হয়। ক্লাসে তাকে আমি একটু শাসিয়েছিলাম। এই শাসন করাকে ইস্যু করেই মাদ্রাসায় অশান্তি সৃষ্টি করা হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়। তারপরও ভারপ্রাপ্ত সুপার লুৎফুর রহমানের ইন্ধনে একটি পক্ষ ওই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে আমার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশ করান। আমার মারধরের কারণে ওই শিক্ষার্থী মারাত্মক আহত হওয়ার বিষয়টি মেডিকেল রিপোর্ট প্রমাণ করবে। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রেরকঃ- মো. মাহতাবুর রহমান, সহকারী সুপার,
বরমচাল হযরত খন্দকার (রঃ) দাখিল মাদ্রাসা।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad

Follow for More!