ধর্ম অবমাননার অভিযোগ। কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে – মাজহারুল ইসলাম।

প্রকাশিত: ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২১

ধর্ম অবমাননার অভিযোগ। কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে – মাজহারুল ইসলাম।
booked.net

 

নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ- কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার(৭অক্টোবর) সকালে প্লে কার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ ও কলেজের অধ্যক্ষের কাছে শিক্ষার্থীরা এক স্মারকলিপি প্রদান করে। উক্ত স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, মাজহারুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ ইসলাম বিরোধী কথা বার্তা ও ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ করে আসছেন। এমনকি বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের ইসলাম বিরোধী কাজে লিপ্ত হওয়ার আহবান করেন। শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের কাছে তাদের অভিযোগের সঠিক সুরাহা করার দাবি’ও জানান। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মাজহারুল ইসলাম অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিবাবক দের উদ্দেশ্যে তার নিজস্ব বক্তব্য তুলে ধরেছেন। যা ভয়েস অব কুলাউড়া’র পাঠকদের কাছে হুবহু তুলে ধরা হলো-

শ্রদ্ধেয় অভিবাবক বৃন্দ ও প্রিয় শিক্ষার্থী বৃন্দ,
লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ।
কুলাউড়া, মৌলভীবাজার।

লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা কালীন সময়ে থেকে সুনামের সাথে শিক্ষার্থীদের সেবা করে আসছে।সকল শিক্ষকই শিক্ষার্থী বান্ধব।
কলেজ কর্তৃপক্ষ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদা তৎপর। শিক্ষার্থীদের কলেজ ড্রেস ছাড়া কলেজে প্রবেশ করতে দেয়া হয়না। সাপ্তাহিক আমাদের মনিটরিং টিমের মনিটরিংয়ের সময় আমি সাধারণত কোন শিক্ষার্থীদের কলেজ থেকে বের করে না দিয়ে লাইব্রেরী রুমে শাস্তি হিসেবে বই পড়তে বাধ্য করি। অধ্যক্ষ মহোদয়কে এ বিষয়ে অবগত করা হয়। সম্প্রতি কলেজের সকল শিক্ষার্থী শতভাগ ড্রেস নিয়ে আসছে এমনকি বোরখা পরেও মেয়েদের ড্রেস থাকে। তখন আমরা তাদের বোরখা নিয়ে আসার এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত নির্দিষ্ট রঙের বোরখা নিয়ে আসার আহ্বান জানাই। গত দুই সোমবার আমাদের টিম ক্লাসে ক্লাসে এই ঘোষণা দেয়। গত ৪ অক্টোবর ২০২১ সোমবার আমাদের এক শিক্ষার্থী জুড়ী থেকে এসেছে কলেজ ড্রেস ছাড়া বোরখা পড়ে, আমার বিশেষ অনুরোধে তাকে ক্লাস করতে দেয়া হয়। লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের বোরখার ডিজাইন নির্দিষ্ট করা ড্রেসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে। কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের কথাই আমরা প্রচার করি। আমাদের বা আমার ব্যাক্তিগত কোন প্রচার নয়। আমরা ধর্মীয় অনুভূতি ও রীতিনীতিকে শ্রদ্ধা করি। আমি ব্যাক্তিগত ভাবেও শ্রদ্ধা করি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই না জেনে আমাকে নাস্তিক বলছেন, কিন্তু আমি কাউকে নিজেকে নাস্তিক বলেছি এমন কেউ বলতে পারবেন না। কলেজের কাজ ছাড়াও সামাজিক কর্মকাণ্ডে আমি জড়িত থাকি। কেউ ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াতে পারে। আপনারা এ ফাঁদে পা না দেয়ার অনুরোধ করছি। সকল শিক্ষার্থী আমাদের সন্তানের মতো তাদের কল্যানময় ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য আমাদের থাকে শুভকামনা। শিক্ষার্থীদের সমৃদ্ধ জীবন কামনা করছি। ধন্যবাদ।

মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম
সহকারী অধ্যাপক, ইতিহাস।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad