দাতের মাড়ির যত্ন নেওয়ার ঘরোয়া উপায়।

প্রকাশিত: ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৮, ২০২৩

দাতের মাড়ির যত্ন নেওয়ার ঘরোয়া উপায়।
booked.net

Manual3 Ad Code

দাঁত ভালো রাখার জন্য মাড়ি ভালো রাখা জরুরি। কারণ গোড়া ভালো না থাকলে কোনোকিছুই ভালো রাখা যায় না। তাই দাঁতের মাড়ি শক্ত ও সুস্থ রাখতে হবে। নিয়মিত যত্ন নেওয়া ও সঠিক খাবার গ্রহণের ফলে মাড়ি ভালো রাখা সহজ হবে। সেজন্য আপনাকে ঘরোয়া উপায়ে নিতে হবে কিছু যত্ন। তবে যদি মাড়ির কোনো রোগ দেখা দেয় এবং ঘরোয়া প্রতিকারেও তা না সারে তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি হয়ে দাঁড়ায়।

প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করুন-

দিনে দুইবার দুই মিনিট সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন। ফ্লোরাইড সমৃদ্ধ টুথপেস্ট বেছে নিন। এটি হলো এক ধরনের খনিজ যা এনামেলকে শক্তিশালী করে এবং দাঁতকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে। দাঁত মাজার প্রক্রিয়াকে আকর্ষণীয় এবং দ্রুত করতে ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, ইলেক্ট্রিক টুথব্রাশ দাঁত পরিষ্কার ও মাড়ি ভালো রাখার কাজে বেশি কার্যকরী।

Manual6 Ad Code

প্রতিদিন ফ্লস ব্যবহার করুন-

আমাদের দাঁতের ফাঁকে এমনভাবে কিছু খাদ্যকণা আটকে থাকে যেখানে টুথব্রাশও পৌঁছাতে পারে না। এক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী একটি উপায় হলো ফ্লস ব্যবহার করা। দাঁত ও মাড়ি ভালো রাখার জন্য দিনের কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন। এতে মাড়ির সুস্থতা অনেকটাই নিশ্চিত হবে।

ফ্লোরাইড যুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন-

দাঁত ব্রাশ করার পরে অতিরিক্ত সুরক্ষার জন্য ফ্লোরাইড যুক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে। মাউথওয়াশ শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া এবং খাবারের কণা দূর করতেই সাহায্য করে না বরং ফ্লোরাইডের সাহায্যে আপনার দাঁতের এনামেলকে সুরক্ষিত রাখে।

Manual7 Ad Code

ভারসাম্যপূর্ণ খাবার-

চিনিযুক্ত ও স্টার্চি খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন, যা দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগ বাড়িয়ে দিতে পারে। ফাইবারযুক্ত খাবার, যেমন আপেল, শাক-সবজি ইত্যাদি দুর্দান্ত কারণ এসব খাবার প্রচুর পরিমাণে চিবানো প্রয়োজন। এছাড়াও, সচেতন থাকুন যে আপনি যত বেশি অ্যালকোহল পান করবেন, মাড়ির রোগের ঝুঁকি তত বেশি।

খাওয়ার পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন-

প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরে দাঁত ব্রাশ করা জরুরি নয়। খাওয়ার পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে ভুলবেন না। ধুয়ে ফেলার ফলে মুখের মধ্যে থাকা শর্করা এবং খাবারের কণা দূর হয়ে যায়।

ধূমপান ত্যাগ করুন-

ধূমপান এবং তামাক ব্যবহার মাড়ির রোগের একটি প্রধান কারণ। যেহেতু ধূমপান ইমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়, তাই আপনার শরীররের পক্ষে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং দ্রুত নিরাময় করা কঠিন হয়ে যায়। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধূমপান ত্যাগ করুন।

Manual2 Ad Code

নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে যান-

নিয়মিত পরীক্ষার জন্য ডেন্টিস্টের কাছে যেতে পারেন। ব্রাশ বা ফ্লস করার পরও দাঁতে কিছু জমে থাকলে তা পেশাদার ডেন্টিস্ট পরিষ্কার করে দিতে পারবেন। সেইসঙ্গে তিনি আপনার মাড়ির রোগের প্রাথমিক লক্ষণও শনাক্ত করতে এবং চিকিৎসা করতে পারবেন।

Manual4 Ad Code

Ad

Follow for More!