বিশেষ প্রতিনিধিঃ- নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দশা জুমারা আক্তার’র পরিবারের। রীতিমতো ঘর নেই যাইবা আছে তাও আবার চাচার দয়ায়। তাইতো নিজ ঘড়ের ফুটো চালের নিচে বৃস্টির পানি থেকে বই-খাতা নিরাপদে রাখতে করতে হয়েছে কঠিন সংগ্রাম। কোন কোন সময় রান্নাঘরের চুলা থেকে নির্গত ধোয়ার জন্য পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যেত তার। তবুও তার স্বপ্ন তাকে সাহস যুগিয়েছে।
তাছাড়া একজন সমাজকর্মীর উপহার দেওয়া সোলারের দুটি ইলেক্ট্রিক ভালব তাকে অন্ধকারে আলো দেখিয়েছে সবসময়। ঘরে বসে লেখাপড়া করার মতো চেয়ার টেবিল বিহীন পৃথিমপাশা ইউনিয়নের পৃথিমপাশা গ্রামের পেশায় দিনমজুর বাবা শাহের উদ্দিন ও গৃহিনী মা ইয়ারুন বেগমের আশা পুরন করেছে জুমারা। এবারের এসএসসি ২০’ইং পরীক্ষায় আলী আমজদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন এ+ পেয়ে আবারও প্রমাণ করেছে -গরীবির নিষ্ঠুর কষাঘাতও দমিয়ে রাখতে পারেনা কোন প্রজ্জ্বলিত প্রতিভা।
জুমারা জানায়,সে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হতে ইচ্ছুক এবং ভবিষ্যৎ স্বপ্ন দেখছে সে ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু কলেজে ভর্তির টাকা,বই,যাতায়াত সব মিলে দুঃখিনী মা-বাবা রয়েছেন ভীষণ দুঃশ্চিন্তায়। এমতাবস্থায় স্থানীয় এলাকাবাসী সমাজের বিত্তবান দের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন। উল্লেখ্য যে, জুমারার ছোটবোন উর্মী প্রাথমিকে গোল্ডেন এ+ পেয়েছে এবং বর্তমানে সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
= আরো পড়ুন =
Leave a Reply