জাতিসংঘে জায়েদ খানের পুরস্কার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

প্রকাশিত: ৮:০৯ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২২, ২০২৩

জাতিসংঘে জায়েদ খানের পুরস্কার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
booked.net

Manual6 Ad Code

বিনোদন ডেস্কঃ- অভিনয়ে না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জায়েদ খান বেশ আলোচিত চরিত্র। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে ঢালিউডের এই নায়ককে নিয়ে হাস্যরসে মেতে থাকেন নেটিজেনরা। সম্প্রতি তাঁর আমেরিকা সফর নিয়েও নানা ধরনের ট্রল চোখে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম গুলোতে।

সম্প্রতি হঠাৎ ফেসবুকে আলোচনার মধ্যমণি হয়ে ওঠেন জায়েদ খান। খবর পাওয়া যায়, তিনি আমেরিকায় জাতিসংঘের অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ থেকে একটি পুরস্কার পেয়েছেন। জাতিসংঘের সদর দপ্তর থেকেই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। দেশের প্রথম সারির পোর্টালগুলো ছাড়াও নানা অখ্যাত মাধ্যমেও খবরটি বেশ ফলাও করে ছাপা হয়।

তবে বিষয়টি নিয়ে যাচাই-বাছাই শুরু করে সমসাময়িক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা পোর্টাল ব্লিটজ। বিষয়টি জানতে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করে এই মাধ্যমটি।

Manual8 Ad Code

এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে ব্লিটজ জানায়, জায়েদ খানকে পুরস্কার দেওয়া ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মূলত জাতিসংঘের একটি হলরুম ভাড়া করে বিভিন্নজনকে পুরস্কৃত করে এই প্রতিষ্ঠানটি। কিছু পেশাদার ব্যক্তির উদ্যোগে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর এই সংগঠনটির নামে একটি ডোমেইন কিনে পরে ওয়েবসাইট চালু করা হয়। যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিপুলসংখ্যক মানুষকে ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার দিয়েছেন আয়োজকেরা। পুরস্কারের তালিকায় অনেক বড় বড় ব্যক্তিও রয়েছেন। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নাম রয়েছে এই তালিকায়। তবে এই পুরস্কারের বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

Manual6 Ad Code

ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, নিউইয়র্কে একটি অফিস ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির সুইজারল্যান্ড এবং লুক্সেমবার্গেও অফিস রয়েছে। যদিও সুইজারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গের অফিসের কোনো সুনির্দিষ্ট ঠিকানা প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করতে পারেনি।

Manual1 Ad Code

২০২২ সালে ওয়েবসাইট চালু হলেও প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে ২০১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কার্লোস ম্যানুয়েল প্যারেজ গঞ্জালেস নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট এবং ড. অ্যান্ড্রিজ বেস নামে আরেকজন এটির প্রতিষ্ঠাতা। আন্তর্জাতিক পরিচালক হিসেবে নাম উল্লেখ আছে ফ্রেডেরিক অর্ডিন্স নামে একজনের।

Manual7 Ad Code

বিষয়টির অনুসন্ধান করতে গেলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র ব্লিটজকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের নামসর্বস্ব অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো মূলত আফ্রো-আমেরিকানরা পরিচালনা করেন। মূলত অর্থের বিনিময়ে সম্মাননা দিয়ে তাঁরা আয় করেন। আর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই তাঁরা জো বাইডেনের মতো বড় বড় ব্যক্তিদের নামও পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত করেন।

Ad

Follow for More!