প্রকাশিত: ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ, মে ১৪, ২০২২
নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ- মৌসুমের প্রথম ভারী বর্ষণ হয়েছে কুলাউড়ায়। গত শুক্রবার (১৩ মে) বিকাল প্রায় ২টা থেকে রাত অবধি ভারী বর্ষণ অব্যাহত ছিল। এতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ ভারী বর্ষণে কুলাউড়া পৌর শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ও রাস্তায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় অনেকেই তাৎক্ষণিক বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি।
শুক্রবারের ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা ভিডিও সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়। বৃষ্টির মধ্যেও মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করে খোঁজ-খবর নেন। এদিকে কুলাউড়া পৌর শহরে জলাবদ্ধতা নিয়ে মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ শক্রবার (১৩ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে তাঁর ব্যবহৃত ওয়াল থেকে পৌর নাগরিকদের প্রতি ক্ষুদে বার্তায় বলেন, “শুক্রবার হঠাৎ ভারী বর্ষণে আপনারা (পৌরবাসী) দারুণভাবে কষ্টে ছিলেন/আছেন। আপনাদের এই অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আপনাদের এই দুর্ভোগ লাঘব করতে পারিনি তাই আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। মেয়র বলেন- দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র ১ বছর ৩ মাসে পানি নিষ্কাশনের চূড়ান্ত ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি।”
মেয়র তাঁর ফেইসবুক ওয়ালে শহরের পানি নিষ্কাশনে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দায়িত্বভার গ্রহণের পর শহরের পানি নিষ্কাশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ পরিকল্পনার সার সংক্ষেপ হচ্ছে পৌরসভার পশ্চিমাংশের পানি পশ্চিমদিকে অবস্থিত মরাগুগালী ও পূর্বাংশের পানি পূর্বদিকে অবস্থিত গুগালীছড়ায় পতিত হবে। এ লক্ষ্যে পাড়া মহল্লা থেকে গুগালীছড়া পর্যন্ত প্রাইমারী, সেকেন্ডারী ও টারসিয়ারী ড্রেন নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রয়োজন শতকোটি টাকা। এই অর্থেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু ড্রেন নির্মাণের টেন্ডার করা হয়েছে। কাজও শুরু হয়েছে।”
মেয়র আরো বলেন, “দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে যে বৃহৎ প্রজেক্টে মাত্র ৩৭টি পৌরসভা অন্তর্ভূক্তি হয়েছে, তার মধ্যে কুলাউড়া পৌরসভাও রয়েছে। এছাড়া ইতিমধ্যে মরাগুগালী খননের টেন্ডার হয়েছে। আগামী শুকনো মৌসুমে তা খনন করা হবে।”
তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুম শুরুর পূর্বে টোটা-ফাঁটা ড্রেনগুলো পরিস্কার করা হয়েছে। কিন্তু পৌর নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই নির্ধারিত ডাস্টবিনে ময়লা না ফেলে ড্রেনে ময়লা ফেলে দেন। এতে ড্রেনের ভিতর ময়লার স্তুপ জমে পানি নিষ্কাশনে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
মেয়র আশা প্রকাশ করে বলেন, কুলাউড়া পৌরসভায় পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু হয়েছে, যা বাস্তবায়ন করতে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে। দীর্ঘ ২৫ বছরের পুজ্ঞিভূত সমস্যা ১/২ বছরে সমাধান করা অসম্ভব। তিনি সকলকে ধৈর্য্য ধারণের অনুরোধ জানিয়ে নির্ধারিত ডাস্টবিনে ময়লা ফেলতে এবং অন্যকেও এ ব্যাপারে সচেতন করতে সকল নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।
PUBLISHED FROM
2152-B WESTCHESTER AVE BRONX
NEW YORK 10462 USA
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum Mintu
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us