চলতি বছর বিশ্বে বেকারের সংখ্যা ২০ কোটি ৭০ লাখ ছাড়াবে- আইএলও।

প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২২

চলতি বছর বিশ্বে বেকারের সংখ্যা ২০ কোটি ৭০ লাখ ছাড়াবে- আইএলও।
booked.net

নিউজ ডেস্কঃ- করোনা মহামারির দীর্ঘায়িত হওয়ায় সারা বিশ্বে বেকারত্ব বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। শ্রম বাজারে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আরো বিলম্বিত হবে বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। সম্প্রতি আইএলও প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক-২০২২’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বিশ্ব জুড়ে বেকারত্ব ও কর্মসংস্হানের অবস্থা এবং পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দুই বছরের করোনার কারণে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ধীর হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় ২০২২ সালে বৈশ্বিক বেকারত্ব বেড়ে ২০ কোটি ৭০ লাখে দাঁড়াতে পারে। যা ২০১৯ সালের চেয়ে ২ কোটি ১০ লাখ বেশি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারির গতিপথ এবং সময়কাল সম্পর্কে অনিশ্চয়তার কারণে কমপক্ষে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বে বেকার মানুষের সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় বেশি থাকবে। শুধু তাই নয়, পুনরুদ্ধার করতে পূর্বের ধারণার চেয়েও আরো বেশি সময় লাগবে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই বাধা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষের নতুন চাকরির সুযোগ বঞ্চিত হবে।

আইএলও ডিরেক্টর জেনারেল গাই রাইডার উল্লেখ করেছেন, চলমান মহামারি এবং এর ভিন্ন ভিন্ন রূপ-বিশেষ করে ওমিক্রন পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে বিলম্বিত করবে। ব্যাপক চাকরির সুযোগ হয়, এমন সব খাতে আরো বেশি হারে বিনিয়োগ করতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএলওর আগের পূর্বাভাসের চেয়ে বিশ্বব্যাপী শ্রম বাজারের গতিপথ আরো খারাপ হয়েছে। পুনরুদ্ধারের গতি বিভিন্ন অঞ্চলে পরিবর্তিত হয়। ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার অঞ্চলগুলোতে সবচেয়ে উৎসাহজনক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা পিছিয়ে আছে।

সামগ্রিকভাবে ২০২২ সালে ২০ কোটি ৭০ লাখ লোক বেকার হবে। এ সংখ্যা বেশিও হতে পারে; কারণ অনেক লোক কর্মসংস্থান ছেড়েছে এবং এখনো কর্মস্হলে ফিরে আসতে পারেননি। এদের মধ্যে অনেক বেশি সংখ্যক নারীও রয়েছেন। কারণ তাদের অনেকেই বাড়িতে অবৈতনিক কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। যেমন স্কুল বন্ধের সময় বাচ্চাদের পড়ানো বা পরিবারের অসুস্থ সদস্যদের যত্ন নেওয়া।

আইএলও উল্লেখ করেছে, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি শ্রমবাজারে পুনরুদ্ধার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই সময়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি শ্রমকিদের আরো সংকটে ফেলেছে। নীতিনির্ধারকদেরও সংকটে ফেলেছে। কারণ আন্তর্জাতিক বাজার প্রভাব এবং দেশীয় পরিস্থিতি সামাল দিতে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ সীমিত করে দিচ্ছে। অর্থনৈতিক অবস্হা সামাল দিতে ব্যয় সংকোচনের পথে হাঁটায় নিম্ন-আয়ের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলছে। এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বাড়াতে তাগিদ দিয়েছে সংস্হাটি। কারণ অর্থনৈতিক অবস্থা করোনার আগের মতো হতে ধারণার চেয়েও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। সাধারণ মানুষের আয় কমে গেলে এটি দেশের সামগ্রিক ভোক্তা ব্যয় কমিয়ে ফেলবে।

Ad

Follow for More!