গরমে শরীর সুস্থ রাখতে করনীয়।

প্রকাশিত: ৮:৫৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২২

গরমে শরীর সুস্থ রাখতে করনীয়।
booked.net

অনলাইন ডেস্কঃ- প্রতিদিনই বাড়ছে রোদের তীব্রতা। বাড়ছে গ্রীষ্মের দাবদাহ। প্রচণ্ড গরমে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। হতে পারে হিটস্ট্রোকের মতো মারাত্মক সমস্যা। এ ছাড়া গরমের সময়টাতে বিশেষ কিছু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়, যেগুলো সম্পর্কে সতর্ক থাকা খুব দরকার।

গরমে শরীর সুস্থ রাখতে কি করনীয় জেনে নিনঃ-

যতটা সম্ভব রোদে যাবেন না। বেশি পরিশ্রম হয় এমন কাজ কম করতে চেষ্টা করবেন। গ্রীষ্মে বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা বেশি থাকে। এ সময়টাতে রোদে বের না হওয়ার চেষ্টা করবেন।

গরমে যখনই বাসা থেকে বের হবেন, সঙ্গে পানির বোতল রাখবেন। ছাতা ও প্রয়োজনে রোদচশমা ব্যবহার করবেন। হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতি কাপড় পরার চেষ্টা করুন। যাদের কর্মক্ষেত্রে জুতা না পরলেই হয়, তারা স্যান্ডেল পরতে পারেন।

গরমে হালকা, ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতি কাপড় পরার চেষ্টা করুন।

গরমে মন ও শরীরকে সতেজ এবং সুস্থ রাখতে গোসলের কোনো বিকল্প নেই। সকালে, দুপুরে আর সারা দিনের কাজের শেষে বা রাতে ঘুমের আগে গোসল করলে শরীর যে শুধু আরাম পাবে তা কিন্তু নয় বিভিন্ন সংক্রমণ ব্যাধির উৎপাত থেকেও রক্ষা পাবেন।

গরমে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। তৃষ্ণা না পেলেও প্রচুর পানি পান করবেন। পানি ছাড়াও ডাব, জুস, লাচ্ছি, লেবুপানি, দই খেতে পারেন। পাশাপাশি খেতে পারেন স্যালাইন ও মৌসুমি তাজা ফলমূল। এতে শরীর আর্দ্রতা হারাবে না।

গরমে সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। গরমে বাইরের অতিরিক্ত তেল ও মসলা দেওয়া খাবার খাবেন না। খোলা স্থানে থাকা কোনো পানীয় পান করবেন না। এতে খাবার ও পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। কারণ উম্মুক্ত স্থানে এ সব খাবারে মাছি ও পোকামাকড়ের বিস্তারে রোগবালাই ছড়াতে মুখ্য ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে কারও কারও পেটব্যথা, পেট কামড়ায়, হজমে গোলমালসহ জন্ডিসের মতো রোগও হতে পারে। তাই বাইরের খাবার ও পানীয় গ্রহণে সর্তক থাকুন।

গরমের স্বাস্থ্যগত মারাত্মক একটি সমস্যার নাম হিটস্ট্রোক। এর মূল কারণ শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। সাধারণত শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিটস্ট্রোক বলা হয়। কারণ-অকারণে রোদ না গিয়ে যথাসম্ভব ঘরের ভেতরে বা ছায়াযুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করুন, এতে হিটস্ট্রোক এড়াতে পারবেন। চা ও কফি কম কম খেয়ে পানি, লবণযক্ত পানীয় বা স্যালাইন, ফলের জুস, দই, মাঠা, ঘোল, লাচ্ছি খেতে পারেন।

Ad