কুলাউড়া নির্বাচন অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না! সংবাদ প্রকাশের পর প্রবাসী পেলেন কার্ড।

প্রকাশিত: ২:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২২

কুলাউড়া নির্বাচন অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না! সংবাদ প্রকাশের পর প্রবাসী পেলেন কার্ড।
booked.net
Manual5 Ad Code

Manual6 Ad Code

স্বপন কুমার দেব রতনঃ- কুলাউড়া উপজেলার রঙ্গিলকুল গ্রামের পর্তুগাল প্রবাসী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মিয়া অবশেষে এনআইডি কার্ড পেলেন। এছাড়া নির্বাচন অফিসে দেয়া ঘুষের টাকা ফেরৎ পেয়েছেন।

সিরাজুল ইসলামের বলেন, একটি জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ আসার পরেই এনআইডি কার্ড দেয়ার মধ্যস্থতাকারী সেলিম আমাকে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাছে নিয়ে যায়। এরপর সাথে সাথে আমার এনআইডি কার্ড পাই। আর সেলিম আমার টাকাও ফেরৎ দিয়েছে। কিন্তু এর আগে দুই আড়াই মাস হেটেও কার্ড পাইনি। অফিসে গেলে আজ/ কাল বলে বিদায় করে দিতো।

Manual5 Ad Code

তিনি আরও বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর আমার পরিচিতি ২-৪ জনের কাজ হয়েছে। এমনকি ৬ মাস হেটেও যাদের কাজ হয়নি তাদেরও কাজ হয়েছে। এক পর্যায়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি ড্রাইভিং লাইসেন্স করার জন্য দেশে এসেছিলাম। কিন্তু পাসপোর্টের সাথে এনআইডি কার্ডের মিল না থাকায় প্রথমে করতে পারিনি। পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য আবেদন করে সময় মতো না পাওয়ায় করতে পরিনি।

তিনি আরও বলেন, আবেদন করার পরে অফিসে গেলে আমাকে বলা হতো এটা মৌলভীবাজার, সিলেট কিংবা ঢাকা থেকে সংশোধন করে দিতে হবে। কিন্তু এখন দেখি কুলাউড়া নির্বাচন অফিস থেকেই দেয়া যায়। এতো দিন আমাকে অযথা হয়রানি করা হয়েছে আরও টাকার জন্য।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমার কার্ড হস্তান্তর করার সময় আমার একটা ভিডিও রেকর্ড রাখেন। আমার কাছ থেকে কেউ টাকা নেয়নি ভিডিওতে এটা বলার জন্য উপজেলা নির্বাচন অফিসার আমাকে বলেন। আমি কার্ডটি পাওয়ার জন্য মূলত এটা বাধ্য হয়ে বলেছি। কিন্তু আসার সময় আমি নির্বাচন অফিসারকে বলে এসেছি আমি যদি ওই এনআইডি কার্ড নাও পাই তারপরেও আমার কানো সমস্যা হবে না। আমি এখন পর্তুগালের সিটিজেন।

মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আপনি শুনলে অবাক হবেন দেশে আসার পরপরই স্মার্ট কার্ড (ভুলটা) আনার সময়ও ওই সেলিমকে পাঁচশত টাক দিতে হয়।

Manual1 Ad Code

এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ দেয়। ওই তদন্তেও রয়েছে নানা গাফলা।

এভাবে কুলাউড়া নির্বাচন অফিসে প্রতিদিন শ’শ’ মানুষের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে এনআইডি কার্ডে কাজ করতে হয় সেবা নিতে আসা লোকজনকে। ৫শ’ থেকে হাজার টাকার নিচে কোন সেবা পান’না নাগরিকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাগুরা এলাকার কয়েকজন বলেন কোভিড-১৯ টিকা নেয়ার জন্য ওই অফিসের সেলিমকে কার্ড প্রতি ৫শ’ টাকা দিতে হয়েছে। টাকা না দিলে তারা কোন কাজই করেন না। বাধ্য হয়ে তাদেরকে উৎকোচ দিয়ে কাজ করাতে হচ্ছে।

Manual7 Ad Code

সিরাজ মিয়ার বিষয়ে কুলাউড়া নির্বাচন অফিসার আহসান ইকবাল বলেন, এরকম কাউকে কার্ড দেয়া হয়েছে কি না আমার জানা নেই। মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মিয়া নামে কাউকে আমি চিনিনা। আর কারো রেকর্ডও আমি রাখিনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad

Follow for More!