প্রকাশিত: ৪:২১ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২২
নিজস্ব সংবাদ দাতাঃ- কুলাউড়া পৌরসভা ও উপজেলার ভূকশিমইল, কাদিপুর, জয়চন্ডী, বরমচাল, ভাটেরা, রাউৎগাঁও ও ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে এখনো বন্যার পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। গত ১৯ জুন থেকে শুরু হওয়া এসব এলাকায় পানি এখনো ওঠানামা করছে বলে বানবাসি লোকজন জানিয়েছেন। উপজেলার ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে বানবাসিরা আশ্রয় নিলেও অনেকেই ঘর-বাড়িতে পানিবন্ধি রয়েছেন। কেউ কেউ আবার আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া অনেকেই বিপাকে পড়েছেন তাদের গৃহপালিত পশু নিয়ে। পানিবন্ধি লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী নিয়ে কোন রকম ঠাসাঠাসি করে রাত-দিন কাটছেন। সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে। তাছাড়া বন্যা কবলিত এলাকায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পাঠ্যবই অনুশীলন করতে পারছে না। এতে তাদের লেখাপড়ায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। এদিকে স্মরণকালের এ বন্যায় সরকারি ত্রাণের পাশাপশি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পর্যাপ্ত ত্রাণ নিয়ে দাঁড়িয়েছেন বন্যার্তদের মাঝে। পানিবন্ধি মানুষের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার অবনতি যাতে না হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষনিক তদারকি করছে।
কুলাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী জানান, উপজেলার ৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৯ জুন থেকে এখন পর্যন্ত ৭৬ টন চাল ও ১৮শ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (২৫ জুন) পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিশেষ ত্রাণ কর্মসূচির আওতায় কুলাউড়া উপজেলার ৫শ’ বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, বন্যা পরবর্তী সময়েও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে থাকবে উপজেলা প্রশাসন।
Published From
Positive International Inc,
73-16, Roosevelt Ave Floor 2, Jackson Heights, New York 11372.
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us