কুলাউড়ায় মসজিদকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কর্মসূচি। সংঘর্ষের আশঙ্কা।

প্রকাশিত: ৩:২১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪

কুলাউড়ায় মসজিদকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কর্মসূচি। সংঘর্ষের আশঙ্কা।
booked.net

আব্দুল কুদ্দুস:- কুলাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ভাটগাঁও জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সম্প্রতি কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে মসজিদ সম্প্রসারণে বাধা, টাকা আত্মসাৎ এবং জায়গা দখলের অভিযোগ তুলেন প্রতিপক্ষরা। এরই প্রতিবাদে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।

 

এদিকে সংবাদ সম্মেলন চলাকালে পাশেই মসজিদের সামনে রাস্তা বন্ধ করে মাথায় কাফনের কাপড় বেধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন প্রতিপক্ষরা। তারা মসজিদের জায়গা উদ্ধারের জন্য কর্মসূচি পালন করছেন বলে জানান। এই পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।

 

এদিকে শনিবার দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ সম্পাদক এম. এস জামান লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রতিপক্ষের ভয়ে মুসল্লীরা মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় করতে পারছেন না। দীর্ঘদিন থেকে স্বচ্ছতার সহিত তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে এবং তার পরিবারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই নুরুল ইসলাম সিকন, ছেলে মনিরুল ইসলাম তানিম, ভাতিজা সামসুল আরেফিন কামাল ও সুমেল আরেফিন গংরা উঠে পড়ে লেগেছে। মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে সম্প্রসারণ কাজে বাঁধা ও মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন; যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মসজিদ সম্প্রসারণ কাজে বাধা দেয়ার মতো অনৈতিক কাজ কমিটির কেউ করেনি। ইমাম সাহেবের বেতন ব্যাংকের হিসাব শাখার মাধ্যমে দেয়া হয়। এখানকার যাবতীয় কিছু দেখভাল করে পরিচালনা কমিটি। টাকা আত্মসাতের সুযোগ নেই।

 

এম এস জামান বলেন, তিনি শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত। এর বাহিরে তার কোন পরিচয় নেই। কিন্তু শামসুল আরেফিন কামালের প্ররোচনায় আব্দুর রাজ্জাক সভাপতি ও তাকে সম্পাদক করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা পেশীশক্তির দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন সময় মসজিদে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে থাকেন। এমনকি মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কমিটির লোকসহ মুসল্লীদের হয়রানির শিকার করছেন। মসজিদের পাশের জায়গা তাদের। এখানে জায়গা দখলের অভিযোগ সঠিক নয়।

 

তাছাড়া ওই মসজিদের সাবেক ইমামকেও অশালীনভাবে
গালিগালাজ করে মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দেন তারা। তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় বাড়িতে আক্রমণ করা এবং বাড়ির সিএনজি গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তাছাড়া তার বাড়ির খাবার পানির ট্যাংকেও বিষ প্রয়োগ করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-মসজিদ পরিচালনা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রমজান আলী, সহ-সভাপতি মাসুক মিয়া, সহসম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ কায়েদ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জামাল মিয়া, প্রচার সম্পাদক মো. মাহমুদ আলী ও সহ-প্রচার সম্পাদক মো. আরজান উল্লা,প্রমুখ।

 

জানতে চাইলে সামছুল আরেফিন কামাল বলেন, সংবাদ সম্মেলন করে তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা মসজিদের জায়গা উদ্ধার করতে চান। এজন্য তারা মাথায় কাফনের কাপড় বেধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

 

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো মহিউদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Ad