প্রকাশিত: ১০:২১ পূর্বাহ্ণ, মে ২১, ২০২১
স্থানীয় সময় ভোর রাত ২’টায় (বাংলাদেশ সময় শুক্রবার ভোর ৫টা) সংঘর্ষ বিরতি কার্যকর হওয়ার কথা জানিয়েছে হামাস।
অবশ্য অস্ত্রবিরতিকে হামাস নিজেদের ‘জয়’ বলে ঘোষণা করেছে। আর, অস্ত্রবিরতির খবর প্রকাশ্যে আসতেই গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিরা রাস্তায় নেমে ‘বিজয় মিছিল’ করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর নিশ্চিত করেছে।
ইসরায়েল দাবি করছে,গত ১১ দিনে ফিলিস্তিনের দিক থেকে চার হাজার তিনশোর বেশি রকেট উড়ে এসেছে ইসরায়েলের দিকে। এই হামলায় ১২ জন ইসরায়েলি প্রাণ হারিয়েছে।
এদিকে ইসরায়েলের পাল্টা জবাবে প্রাণ হারিয়েছে ২৩২ জন ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে ৬৫টি শিশু। এ ছাড়া ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছে অন্তত এক হাজার ৯০০ জন।
মিসর বলেছে, অস্ত্রবিরতি যাতে লঙ্ঘন না হয়। তা নজরে রাখতে দুদিকেই প্রতিনিধি দল পাঠাবে তারা। অন্যদিকে ইসরায়েল-হামাস অস্ত্রবিরতির প্রশংসা করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অস্ত্রবিরতি হওয়ার খবরে বাইডেন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের সমান অধিকার রয়েছে বেঁচে থাকার। তা ছাড়া স্বাধীনতা, উন্নতি এবং গণতন্ত্রের অধিকারও দুই দেশের নাগরিকদের সমান। দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি বজায় রাখার উদ্দেশ্যে আমার প্রশাসন শেষ পর্যন্ত কূটনৈতিক মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবে।’
গাজায় গত ১১ দিন ধরে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বর্বরতার আশঙ্কায় উৎকণ্ঠায় পার করেছেন প্রতিটি মুহূর্ত।
অস্ত্রবিরতির খবরে তাঁরা ভিন্ন রুপে গাজার রাস্তায় নেমে আসেন। মসজিদগুলোর মাইকে মাইকে ঘোষণা করা হয়, ‘ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বিজয় অর্জিত হয়েছে।’আরবিতে তারা উল্লসিত কণ্ঠে বলছিল, ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ তায়ালাকে ধন্যবাদ।’
অস্ত্রবিরতির উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন সরকার। গত ১১ দিনের হামলা চলাকালে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ভূমিকা অনেকটাই গুরুত্বহীন ছিল।
হামাস ফাতাহ দ্বন্দ্বে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমে ক্ষমতাসীন ফাতাহ দলের নিযুক্ত ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেন, ‘মিসরের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক শক্তির যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সাফল্যকে আমরা স্বাগত জানাই।’
সম্প্রতি ইসরায়েল ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে আল জাররাহ এলাকা দখলে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এ নিয়ে সেখানকার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের মধ্যে থেমে থেমে উত্তেজনা চলে আসছিল।
গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা আদায় করতে বিপুল মুসল্লি আল-আকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
PUBLISHED FROM
2152-B WESTCHESTER AVE BRONX
NEW YORK 10462 USA
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum Mintu
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us