প্রকাশিত: ৬:১১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টঃ- ১০ই মহররম আজ। পবিত্র আশুরা। ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী একটি দিন। এদিনে ইরাকের ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে পৃথিবীর নির্মমতম ঘটনার অবতারণা হয়। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) মাত্র ৭২ জন সহযোগী নিয়ে ইয়াজিদের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে জিহাদ করে শহীদ হন। তার আগে ইয়াজিদ বাহিনীর ঘাতকরা একে একে হত্যা করে ইমাম হোসেন (রা.)-এর স্ত্রী, পুত্র ও নিকটাত্মীয়কে।
মুসলিম জাহানের তৎকালীন স্বঘোষিত খলিফা ইয়াজিদ দায়িত্ব তুলে দেয়ার কথা বলে কুফা নগরীতে আমন্ত্রণ জানায় হযরত ইমাম হোসেন (রা.)কে। পথে কারবালার প্রান্তরে অবরুদ্ধ করা হয় তাদের। তৃষ্ণার্ত ইমাম হোসেন (রা.)কে ফোরাত নদীর পানি পর্যন্ত পান করতে দেয়া হয়নি। তার সব সঙ্গী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হওয়ার পর নির্মমভাবে সীমারের হাতে শহীদ হন মহানবীর প্রিয় দৌহিত্র।
ইয়াজিদ ঘোষিত পুরস্কারের লোভে সীমার এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটায়। কারবালার ঘটনা ছাড়া আরও অনেক কারণে ১০ই মহররম তাৎপর্যমণ্ডিত। ইসলামের ইতিহাসে এদিনে বহু ঘটনা ঘটেছিল।
এইদিন আল্লাহ্ তায়ালা পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এদিনেই পৃথিবী ধ্বংস করবেন। এদিনেই অনেক নবী-রাসুল জন্মগ্রহণ করেন। আদি পিতা হযরত আদম (আ.)-এর তওবা কবুল হয়েছিল এদিনে। এদিনই হযরত নূহ (আ.) ও তার সঙ্গীরা ভয়াবহ প্লাবন থেকে মুক্তি পান। হযরত ইউনূস (আ.) মাছের পেট থেকে’ও মুক্তি পান আজকের এই দিনে।
রাসুলে করিম (সা.) বলেন, ‘রমজানের রোজার পর মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ, যেমন ফরজ নামাজের পর শেষ রাতের তাহাজ্জত নামাজ সবচেয়ে বেশি মর্যাদাসম্পন্ন।’
প্রায় ১৪০০ বছর ধরে বিশ্বের সকল মুসলমান ১০ই মহররমের শোক কে শক্তিতে পরিণত করতে রোজা রাখেন। দোয়া, মহররমের মর্সিয়া আর মাতমের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এই পবিত্র দিনটি পালন করে থাকেন। এ দিনটি তাই একদিকে মুসলমানদের জন্য শোকাবহ, অন্যদিকে তাৎপর্যমণ্ডিত।
উল্লেখ্য, সারা দেশের মতো কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা নবাব বাড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
PUBLISHED FROM
2152-B WESTCHESTER AVE BRONX
NEW YORK 10462 USA
Email : voiceofkulaura2@gmail.com
Chief Editor : Shafiq Chowdhury
Editor : Abdul Quayyum Mintu
Managing Editor : Nurul Islam Emon
Design and developed by positiveit.us